19 Dec1932 - 12 Jan 2018
নাটকে সমাজের সেই নগ্ন চিত্রই শুধু নয়, তার সমাধানের ইঙ্গিতও ফুটে ওঠা উচিত - এর জন্য আমাদের সমাজের মানসিক প্রস্তুতির প্রয়োজন - এর জন্য প্রয়োজন ৫০০ গ্রাম মাছ - ১ কিলো আলু - আধকিলো পটোল - ২০০ গ্রাম উচ্ছে - ১০০ গ্রাম ধানীলংকা
A teenager and excuses
Another loving farewell
Lifelong companion
Family, friends and theatre
Long drives, the ambassador
Stories from another world
Passing on the light
That smile of fulfilment
Download Copyright Scripts In PDF version. Click on the play icon and request access to your copy.
User can freely use the scripts for stage performances without altering any part and give due credit to the author.
নানা প্রান্তের তিনটি গল্প,
একটি এক্সপেরিমেন্ট (২০০০)
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের - বাঁশি
আবৃত্তি: অরূপ মৈত্র (২০১৫)
আমার ছেলেবেলা
লেখা - ১৫ এপ্রিল ২০১৬ রাত ২:২০
কি বিপুল পরিবর্তন যে হয়েছে ভাবলে অবাক লাগে ! সমস্ত কিছুই বদলে গেছে। আচার ব্যবহার পরিবার পারিপার্শিক সব কিছু আমূল পরিবর্তন হয়েছে। আমি জন্মেছিলাম কলকাতায় খিদিরপুর অঞ্চলে। যা শুনেছি ,বাবা একটা বেসরকারি অফিসে কাজ করতেন। পূর্ব বাংলায় পাবনায় আমাদের দেশ ছিল। ছিল একটা ছোটখাটো জমিদারিও। নানা কারণে জমিদারির অবস্থা খারাপ হওয়ায় বাবা matric এ ফার্স্ট ডিভিশনে পাস করেও পড়তে পারেননি। মার্ কাছে শুনেছি ISc Test পরীক্ষায় পাস করেও আর পড়া হয়নি তাঁর। তিনি পরিবারের কিছু অংশ নিয়ে চলে আস্তে বাধ্য হন। ভাড়া বাড়িতে তাঁর দুই ভাই এবং বাবা মা কে নিয়ে চলে আসেন। সেই বাড়িতেই অন্য একটা অংশে তাঁর মাসতুতো ভাইরা থাকতেন সম্ভবত mess system করে। এসব আমার মা এর মুখে শোনা। বাবার জন্ম ১৯০২, মায়ের জন্ম ১৯১১। ওঁদের বিয়ে হয়েছিল ১৯২৭ এ। বিয়ে কোন বাড়িতে হয়েছিল জানিনা কিন্তু বৌভাত হয়েছিল পাবনায় সিরাজগঞ্জ সাব ডিভিশনের নতুন ভারেঙ্গা গ্রামে।এটাই আমাদের দেশ ছিল। সেখানে আমি গেছি কয়েকবার তবে যুদ্ধের সময় কলকাতা থেকে আমাদের কিছুদিনের জন্য নতুন ভারেঙ্গা গ্রামে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
লেখা - ২৪ এপ্রিল ২০১৭ রাত ২:০০
যতই ভাবি না কেন সারাদিন অন্য কাজ এ চলে যায়। নতুন ভারেঙ্গার স্মৃতি মোটামুটি মনে পড়ে। মাএর গলায় একটা কিছু থেকে ফোঁড়ার মতো হয়েছিল - গলার ভেতরে নয় বাইরের দিকে - পাবনা শহর থেকে একজন surgeon এসেছিলেন। আমাদের বাড়িতে তিনি এসেছিলেন ঘোড়ায় চড়ে। বাড়ির নিচেটা পাকা - অর্থাৎ একতলাটা পাকা - দোতালাটা কাঠের ছিল। দোতালার মেঝেটার কাঠের তক্তার ফাঁক দিয়ে দেখেছিলাম একটুএকটু। মা কে কয়েকজন চেপে ধরে আছেন। মা খুব চেঁচাচ্ছিলেন - সবটা দেখিনি। ডাক্তারবাবুর সাহেবি পোশাক কিন্তু ভদ্রলোক সম্ভবত বাঙালি ছিলেন। খুব বেশি মনে নেই।
আমার বাবার নাম ছিল অসিত চন্দ্র মৈত্র - ওঁর পরের ভাই ছিলেন মোহিত মোহন মৈত্র -ছোট ভাই নিশীথ কুমার মৈত্র। এদের এক দিদি ছিল সীমন্তিনী দেবী। তাঁকে আমি দেখিনি। মেজ ভাই মোহিত মোহন মৈত্র - বিখ্যাত বিপ্লবী - অনুশীলন দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন - ওঁকে আমি দেখিনি। আমার জন্মের আগেই তিনি ব্রিটিশ পুলিশ এর হাতে ধরা পড়েন - কিছুদিন পরে তাঁকে আন্দামান এ পাঠিয়ে দেয়। তখন আমার জন্ম হয়েছে। ১৯৩২ সে ডিসেম্বর এ আমার জন্ম। ১৯৩৩ সালে ওঁকে আন্দামানে পাঠায়। সেখানে বিখ্যাত অনশনে তিনজন শাহিদ হন - মহনকৃষ্ণা নামদাস, মহাবীর সিং এবং মোহিত মোহন মৈত্র। সেটা ১৯৩৩ সাল। অনশন ভাঙাতে জোর করে tube দিয়ে খাওয়াতে গিয়ে ওঁর lungs এ liquid ঢুকে যায়। আমার ঠাকুরদার নামে যে চিঠি এসেছিলো তাতে লেখা ছিল - উনি pneumonia এ মারা গেছেন।
আমার বাবা অসিত চন্দ্র মৈত্র, তাঁর বাবা হেমচন্দ্র মৈত্র, মা সরোজ বাসিনী দেবী। হেমচন্দ্রের বাবা ছিলেন ঈশানচন্দ্র মৈত্র, মা এর নাম বিন্ধ্যবাসিনী দেবী। ঈশানচন্দ্রের বাবার নাম ছিল নবকুমার মৈত্র - মা এর নাম নবদুর্গা দেবী।
আমার মাএর নাম ছিল রমা দেবী - তাঁর বাবার নাম ছিল হবেশচন্দ্র বাগচী - মাএর নাম ছিল সারাসীবালা দেবী - সারাসীবালার মাএর নাম তামালিনী দেবী। মা এর দিকে এর বেশি আর জানা নেই। মা এর ভাই বোন - আমিও গোপাল, অরুন গোপাল এবং অজিত গোপাল। এদের দেখেছি আমি। আমার দাদু দিদিমা এবং তার মা কেও দেখেছি। ঠাকুরদা কে মনে নেই আমার। তবে তাঁকে খুব ছোট বয়েসে দেখেছি।
কী নিয়ে লেখা যায়?
রাত ১২:০০ (২০-৬-১৯৭৯)
কদিন ধরে ভাবছিলাম আবার নাটক লিখলে ক্ষতি কি ? কত সময় নষ্ট করি। লেখার অভ্যাস টা থাকলে ভালো তো। লিখতে লিখতেই কিছু ভালো নাটক বেরিয়ে যেতে পারে।
কি নিয়ে লেখা যায় ? দেশের বর্তমান প্রব্লেমস - যে সব সমস্যা গুলো বিব্রত করছে সাধারণ মানুষকে - উর্ধ স্থানে, রাজনীতিবিদরা ডিগবাজি খাচ্ছেন - সাধারণ মানুষেরা নোংরা রাজনীতির শিকার হচ্ছেন। প্রতীক হিসেবে হবে না বাস্তব।
মঞ্চ কেমন হবে - দ্বিস্তর না ত্রিস্তর - প্ল্যানিংটা এমন হতে পারে। ত্রিস্তর - একেবারে ওপরে আন্তর্জাতিক চক্র - দ্বিস্তর এ - দেশের রাজনৈতিক চক্র - সর্বনিম্ন স্তরে - সাধারণ মানুষ।